সকল পাঠকদের প্রতি আমার
আন্তরিক ভালবাসা রেখে আমার এ খুদে ব্লগ শুরু করছি।নাম দেখেই বুঝা
যায় যে কি চমৎকার জাদু।চলুন শুরু করা যাক।
কোন দর্শককে অনুরোধ করুন এক প্যাকেট তাস হতে ১০ এর বেশি যতগুলো ইচ্ছা তাস নিতে। তারপর আপনাকে না জানিয়ে তাসগুলো গুনতে বলুন । যে সংখ্যক তাস হল তার একক ও
দশক মনে মনে যোগ করতে বলুন । যোগফলের সমান সংখ্যক তাস, দর্শকের নেয়া তাস হতে বাদ দিতে বলুন। এবার আপনি দর্শকের অবশিষ্ট তাস হাতে নিয়েই বলে দিতে পারবেন তাতে কতগুলো তাস আছে।
একটা উদহারণ নেওয়া যাক। ধরা যাক আপনাকে না দেখিয়ে দর্শকটি ২১টি তাস তুলে নিল। এবার সংখ্যাটির একক ও
দর্শক যোগ করলে (২ + ১) = ৩ হয়। আপনার কথামত দর্শকটি ৩টি তাস তার নেয়া ২১টি তাস হতে বাদ দিল। তহলে তাঁর হাতে থাকল ২১ – ৩ = ১৮ টি তাস। আপনি অবশিষ্ট তাসের গোছা হাতে নিয়ে অনায়াসে বলে দিতে পারবেন ১৮টি তাস আছে। দর্শক খুব অবাক হবে
কৌশলঃ এই ম্যাজিকটি কৌশল খুব সোজা। ম্যাজিক দেখানোর আগে আপনাকে শুধু দেখে নিতে হবে ৯টি তাস কতখানি মোটা,
১৮টি তাস কতখানি মোটা,
তেমনি ২৭ ৪৬ ও
৪৫ টি তাস কেমন মোটা। এটুকুই তোমাকে একটু অভ্যাস করতে হবে তাহলেই এই ম্যাজিক দেখানো যাবে। কারণ ইচ্ছামত যত তাসই দর্শক গ্রহণ করুক, তার একক ও
দশকের যোগফলের সংখ্যক তাস রেখে দিলে তাকে “৯,
১৮, ২৭, ৩৬,
৫৪” (৯ এর ঘরের নামতা?)-
এর যে কোন একটির সংখ্যক তাস অবশ্যই থাকবে। আরো দু’একটি উদাহরণ দেয়া যাক ”
১১ – ২ (১ + ১) = ৯
১৪ – ৫ (১ + ৪) = ৯
২০ – ২ (১ + ০) = ১৮
৩১ – ৪ (১ + ১) = ২৭
৪২ – ৬ (১ + ২) = ২৬
৫২ – ৭ (১ + ২) = ৪৫
১১ – ২ (১ + ১) = ৯
১৪ – ৫ (১ + ৪) = ৯
২০ – ২ (১ + ০) = ১৮
৩১ – ৪ (১ + ১) = ২৭
৪২ – ৬ (১ + ২) = ২৬
৫২ – ৭ (১ + ২) = ৪৫
নিশ্চয়ই ভাল লেগেছে।তাহলে wait না করে comment করুন।আমাদের
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন